বাসায় সহজে বানান রেস্টুরেন্ট স্টাইল হাড়ি কাবাব

বাসায় সহজে বানান রেস্টুরেন্ট স্টাইল হাড়ি কাবাব

বাংলার ঘরোয়া রান্নায় কাবাবের নাম শুনলেই যেন আলাদা একটা স্বাদ আর গন্ধ ভেসে আসে। বিশেষ করে উৎসব বা অতিথি আপ্যায়নে হাড়ি কাবাবের জুড়ি নেই। মশলা আর মাংসের নিখুঁত মেলবন্ধনে এই রেসিপি হয়ে ওঠে সবার মন জয় করার মতো। লাল মরিচ, গোলমরিচ, জয়ফল–জয়ত্রীর মতো মশলা কাবাবে এনে দেয় বিশেষ ঘ্রাণ। সঙ্গে থাকে ভিনেগার আর টক দইয়ের টকটকে স্বাদ, যা মাংসকে করে নরম আর রসালো। রান্না শেষে যখন ঝরঝরে তেল ওপরে উঠে আসে, তখনই বোঝা যায় কাবাব তৈরি হয়েছে আসল স্বাদে। নান, পরোটা কিংবা ভাত—যেকোনো কিছুর সঙ্গে এই কাবাব খেতে দারুণ লাগে।


🥩 উপকরণ

  • হাড়ছাড়া গরুর মাংস – ১ কেজি
  • টক দই – আধা কাপ
  • পেঁয়াজ বাটা – ১ কাপ
  • পেঁয়াজ কুঁচি – ২ টেবিল চামচ (বেরেস্তা করার জন্য)
  • রসুন বাটা – ২ টেবিল চামচ
  • আদা বাটা – ১ টেবিল চামচ
  • কাঁচামরিচ বাটা – আধা চা চামচ
  • জয়ত্রী বাটা – ¼ চা চামচ (ইচ্ছামতো)
  • জায়ফল বাটা – ¼ চা চামচ (ইচ্ছামতো)
  • গোল মরিচ গুঁড়া – আধা চা চামচ
  • লাল মরিচ গুঁড়া – ১ টেবিল চামচ
  • জিরা বাটা – ১ চামচ
  • ধনে গুঁড়া (ভেজে নেয়া) – ২ চা চামচ
  • হলুদ গুঁড়া – ১ চা চামচ
  • কাঁচামরিচ – ২ টি
  • চিনি – ১ চা চামচ
  • ভিনেগার বা লেবুর রস – ১ টেবিল চামচ
  • তেল – দেড় কাপ
  • তেজপাতা – ২ টি
  • এলাচ – ৩ টি
  • দারুচিনি – ৪ টুকরা
  • লবঙ্গ – ৪/৫ টি
  • লবণ – স্বাদমতো

🍲 প্রণালি

  • মাংস ধুয়ে পানি ঝরিয়ে সব মশলার সঙ্গে মিশিয়ে মেরিনেট করুন।
  • ভিনেগার যোগ করে কমপক্ষে ২ ঘণ্টা (সেরা স্বাদের জন্য ৫–৬ ঘণ্টা) ফ্রিজে রাখুন।
  • কড়াইতে তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুঁচি বাদামী করে বেরেস্তা করুন। অর্ধেক আলাদা করে রাখুন।
  • বাকি তেলে মেরিনেট করা মাংস দিন, নেড়ে কাঁচামরিচ ও সামান্য পানি দিন।
  • ঢেকে কম আঁচে রান্না করুন, মাঝে মাঝে নেড়ে দিন।
  • পানি শুকিয়ে এলে বেরেস্তা ছড়িয়ে দমে রাখুন।
  • ওপরে তেল উঠলে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

💡 টিপস

  • রান মাংস হলে কাবাব নরম হবে।
  • গরম মসলা হালকা ভেজে নিলে সুগন্ধ বাড়ে।
  • বেশি সময় ধরে মেরিনেট করলে স্বাদ গভীর হয়।
  • পেঁয়াজ কাটার আগে পানিতে ভিজিয়ে রাখলে চোখে কম লাগে।
  • কাবাব তৈরিতে পর্যাপ্ত তেল ব্যবহার করলে ঝরঝরে হবে।

🌿 উপকারিতা

  • গরুর মাংসে প্রচুর প্রোটিন থাকে, যা শরীর গঠন ও পেশি শক্ত করতে সাহায্য করে।
  • আদা–রসুন বাটা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
  • ধনে, জিরা ও গোলমরিচ হজমে সহায়ক।
  • টক দই হাড়ের জন্য ক্যালসিয়াম যোগায়।
  • মশলার সমন্বয় শরীরকে উষ্ণ রাখে এবং ক্ষুধা বাড়ায়।