আমাদের আশেপাশে অনেকেই পাখি ভালোবাসেন, তাদের যত্ন নেন, খাবার দেন। কিন্তু একটি বিষয় আমরা অনেকেই উপেক্ষা করি—পাখির শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব! বিশেষ করে ব্রিডিং মৌসুমে পাখিদের দেহে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয়, যা তাদের হাড় দুর্বল করে ফেলে এবং ডিম পাড়ার সময় সমস্যা সৃষ্টি করে।
এই সমস্যার প্রাকৃতিক সমাধান হতে পারে ডিমের খোসা। এটি শুধু সহজলভ্য নয়, বরং এতে রয়েছে এমন খনিজ উপাদান যা পাখির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আজ আমরা জানব কীভাবে ঘরে বসে খুব সহজে ডিমের খোসা প্রস্তুত করে পাখিকে খাওয়ানো যায়, তার উপকারিতা, এবং কিছু কার্যকর টিপস যা তোমার পাখিকে রাখবে আরও সুস্থ ও প্রাণবন্ত।
🧂 উপকরণ
- ডিমের খোসা – ৩-৪টি
- পানি – প্রয়োজনমতো (সিদ্ধ করার জন্য)
- পাত্র – ১টি (সিদ্ধ করার জন্য)
- ব্লেন্ডার বা পাটা – ১টি
🍳 প্রণালি
- ডিমের কুসুম আলাদা করে খোসাগুলো ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে নাও।
- খোসাগুলো একটি পাত্রে নিয়ে সামান্য পানিতে সিদ্ধ করো (অতিরিক্ত সিদ্ধ নয়)।
- সিদ্ধ হয়ে গেলে পানি ঝরিয়ে কক্ষ তাপমাত্রায় ঠান্ডা হতে দাও।
- ঠান্ডা হয়ে গেলে খোসাগুলো ব্লেন্ডারে বা পাটায় পিষে ছোট খণ্ডে পরিণত করো।
- চাইলে একদম গুঁড়া করেও রাখতে পারো।
- এই খোসা সীড মিক্সে মিশিয়ে বা আলাদা পাত্রে পাখির খাঁচায় রাখো।
- সপ্তাহে ২–৩ দিন এভাবে খাওয়াতে পারো।
💡 টিপস
- অতিরিক্ত সিদ্ধ করলে উপকারী উপাদান নষ্ট হতে পারে, তাই সময়মতো নামাও।
- ডিমের খোসা একদম শুকনো অবস্থায় সংরক্ষণ করো।
- খোসার গুঁড়া খুব বেশি সূক্ষ্ম করো না—ছোট ছোট টুকরো রাখলে পাখি সহজে খেতে পারে।
- ব্রিডিং সময় ক্যালসিয়াম প্রয়োজন বেশি হয়, তখন নিয়মিত দাও।
🌼 উপকারিতা
- হাড় মজবুত করে ও ভাঙন রোধ করে।
- ডিমের খোসায় থাকা ক্যালসিয়াম কার্বনেট (৯৫%) পাখির হাড়ে ঘাটতি পূরণ করে।
- ক্যালসিয়াম ফসফেট ও ম্যাগনেসিয়াম কার্বনেট পাখির ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে।
- প্রোটিন উপাদান পালক ঝরে পড়া কমায় ও নতুন পালক গজাতে সাহায্য করে।
- ডিম পাড়ার সময় পাখির ক্লান্তি কমায়।
- পাখির হাড়, ঠোঁট ও নখকে করে আরও শক্ত ও চকচকে।








